বাহুবল প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে পুলিশের সাথে ডাকাত দলের বন্ধুকযুদ্ধে মদন মিয়া ওরফে সুজন মিয়া (৩৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিসহ একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার দারাগাঁও চা বাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ডাকাত উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বাহুবল মডেল থানার এএসআই সোহেল শাহ ও কনষ্টেবল ইমরান মোল্লা।
পুলিশ জানায়, হত্যা ডাকাতিসহ ৭ টি মামলার আসামী কুখ্যাত ডাকাত মদন মিয়াকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মিরপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগীদের গ্রেফতার করতে মদন মিয়াকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে দারাগাঁও চা বাগান এলাকায় যায় পুলিশ। চা-বাগান এলাকার ২ নং সেকশনের কাছে মাটির রাস্তায় পৌঁছলে চা গাছের নিচে ওৎপেতে থাকা ডাকাতদল পুলিশে উপর পাইপগানের গুলি ছোড়লে কোন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশের হাত থেকে ডাকাত মদন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সহযোগীদের ছোড়া পাইপগানের গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২ টি গুলির খোসা, ৩ টি রামদা, ১টি চাকু ও ১ টি গামছা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এঘটনার সময় এএসআই সোহেল শাহ ও কনষ্টেবল ইমরান মোল্লা আহত হন। তাদেরকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৭ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে। নিহত মদন মিয়ার বিরুদ্ধ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে ৭টি মামলা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধৃত ডাকাত মদন মিয়া তার সহযোগীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছে।